বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খানকে নাকি হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে এই পরিকল্পনা করেন ভারতের কুখ্যাত দুষ্কৃতি লরেন্স বিষ্ণোই। শুরুতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় যোধপুরে।
কিন্তু পরে পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়। তখন এ কাজে তিনি নিয়োগ করেন তার দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসী সম্পত নেহরাকে। সালমানকে খুনের গোটা পরিকল্পনা সাজাতে নেহরা রেইকি করতে দুই দিনের জন্য মুম্বাইও গিয়েছিল।
সম্প্রতি সম্পত নেহেরাকে গ্রেপ্তার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে সালমানকে খুনের ছক ফাঁস করার কথা স্বীকার করে সে। সম্পত নেহেরা গ্রেপ্তার হয় গত বুধবার। এদিকে এই পরিকল্পনার কথা জানার পর সালমান খানের বাসা ও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
হায়দ্রাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে আনা হয়। হায়দ্রাবাদ থেকে গুরগাঁওয়ে যাওয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সম্পত জানায়, সালমানকে খুনের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছিল। সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের ছবি তোলার পাশাপাশি তার গতিবিধি সম্পর্কেও নোট রাখত সম্পত।
হরিয়ানা এসটিএফের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল সতীশ বালান জানান, সালমান খানকে খুনের জন্য কোন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র লাগবে, সেটা জানার জন্যই রেইকি ককরতে মুম্বাই গিয়েছিল সম্পত নেহেরা। সে এক সময় জাতীয় স্তরের ডিক্যাথলন অ্যাথলেট ছিল। তার বাবা ছত্তীশগড় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর।
সম্পত নেহেরাকে এর আগেও ২০১৬ সালে একবার গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে, লরেঞ্চ বিষোই ‘গ্যাং’-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সম্পত নেহেরা। ডজন খানেক খুন, তোলাবাজি, ছিনতাইসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে এই দলটির বিরুদ্ধে।
পুলিশের জেরার মুখে সম্পত নেহেরা কবুল করে, পাতিয়ালা জেলেই লরেন্স বিষোইয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বর্তমানে বিষোইও রাজস্থানের ভরতপুর জেলে বন্দি রয়েছে। গত জানুয়ারিতে সে একবার সালমানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল।